যেনে নিন গাড়ির নাম্বার প্লেটে বাংলা বর্ণগুলোর অর্থ
যেনে নিন গাড়ির নাম্বার প্লেটে বাংলা বর্ণগুলোর অর্থ
আপনার যদি একটি গাড়ি থাকে, তাহলে নিশ্চিতভাবে সেই গাড়িতে সামনে ও পিছনে নাম্বারপ্লেট আছে। আর যদি গাড়ি না-ও থাকে তাহলে নিশ্চই প্রতিদিন চলতে ফিরতে যত গাড়ি দেখেন, সেইসব গাড়ির নাম্বার প্লেটে গাড়ির নাম্বার তো নিশ্চই দেখেছেন। প্রতিটি গাড়ির নাম্বার প্লেট আলাদা। ঢাকা মেট্রো ক ১২৩৪, ঢাকা মেট্রো খ- ২৩৪৫ ইত্যাদি আরো অনেক। ঢাকা মেট্রো বলতে যে গাড়িটি ঢাকা মেট্রোপলিটনের আওতাধীন তা সহজেই অনুমান করা যায়। কিন্তু শহরের নাম আর সংখ্যার মাঝে একটি বাংলা বর্ণমালাও জুড়ে দেয়া হয় গাড়ির নাম্বার প্লেটে। এই বর্ণমালা দিয়ে কী বুঝানো হয় তা কি কখনো ভেবে দেখেছেন?
অনেকেই গাড়ির নাম্বারপ্লেটে বাংলা বর্ণমালার অর্থ হয়ত জেনে থাকবেন। আর না জানলেও ক্ষতি নেই। চলুন জেনে নেয়া যাক এই বর্ণমালার মাধ্যমে গাড়ির নাম্বার প্লেট কী প্রকাশ করা হয়ে থাকে।
নাম্বার প্লেট লিখার ফরমেট:
ক্যাটাগরি অনুসারে গাড়ির নাম্বার নির্ধারণ করার জন্য বিআরটিএ’র একটি নির্দিষ্ট ফরম্যাট রয়েছে। ফরম্যাটটি হল- শহরের নাম- গাড়ির ক্যাটাগরি- গাড়ির নাম্বার।
এই ফরমেটের মাঝের অংশে গাড়ির ক্যাটাগরি বুঝাতেই বাংলা বর্ণমালা ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এবার মনে প্রশ্ন আসতেই পারে কোন বর্ণ দিয়ে কোন ক্যাটাগরি বুঝানো হয়ে থাকে?
বিআরটিএ যখন কোন গাড়িকে অনুমোদন দিয়ে থাকে, তখন গাড়ির ধরণ অনুসারে গাড়িকে একটি ক্যাটাগরিতে স্থান দেয়া হয়ে। কোন গাড়ি কোন ক্যাটাগরিতে পড়ছে, সেই ক্যাটাগরি অনুসারে গাড়ির জন্য একটি বর্ণমালা নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। নাম্বারপ্লেট প্রদানের ক্ষেত্রে বিআরটিএ’র নিয়ম অনুসারে মোট ১৯ টি ক্যাটাগরি আছে। এর মধ্যে একটি ক্যাটাগরি হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের গাড়ি, বাকি ১৮টি ক্যাটাগরি হচ্ছে জনসাধারণের গাড়ির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। দেখে নেয়া যাক আপনার গাড়িটি কোন ক্যাটাগরিতে পড়েছে।
ক –
প্রাইভেটকার, ৮০০ সিসি’র প্রাইভেট কারের নাম্বারপ্লেটে ব্যবহার করা হয়ে থাকে ব্যাঞ্জন বর্ণের প্রথম বর্ণ ‘ক’।
খ –
প্রাইভেটকার, যেসব প্রাইভেট কার ১০০০-১৩০০ সিসি’র হয়ে থাকে সেগুলোর নাম্বারপ্লেটে ‘খ’ লিখা থাকে।
গ –
প্রাইভেটকার, ১৫০০-১৮০০ সিসি’র যেসব প্রাইভেটকার রয়েছে সেগুলোর নাম্বারপ্লেটে খেয়াল করলে দেখা যাবে ‘গ’ বর্ণ দেয়া আছে।
ঘ –
জীপগাড়ি, জীপগাড়ির ক্যাটাগরি নির্ধারণের জন্য ‘ঘ’ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
চ –
মাইক্রোবাসের নাম্বার প্লেটে ব্যবহার করা হয় বাংলা বর্ণমালার ৫ম বর্ণ ‘চ’।
ছ –
আবার ভাড়ায় চালিত মাইক্রোবাস যেগুলো সেগুলোর নাম্বার প্লেটে থাকে ‘ছ’। লেগুনার জন্যও এই বর্ণটি নির্ধারিত।
জ –
মিনিবাসের ক্যাটাগরি বুঝানোর জন্য নাম্বার প্লেটে ‘জ’ বর্ণটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
ঝ –
আবার বড় বাস বা কোস্টার বাসের ক্যাটাগরি ভিন্ন। এই ক্যাটাগরি বুঝাতে ব্যবহার করা হয় ‘ঝ’।
ট –
কোন গাড়ির নাম্বার প্লেটে যদি ‘ট’ বর্ণটি লিখা থাকে তাহলে বুঝতে হবে এটি বড় ট্রাকের নাম্বার প্লেট।
ঠ –
নাম্বার প্লেটে ‘ঠ’ থাকলে বুঝতে হবে, নাম্বার প্লেটটি কোন ডাবল কেবিন পিক-আপ এর নাম্বার প্লেট।।
ড –
মাঝারি ট্রাকের নাম্বার প্লেটের দিকে খেয়াল করলে দেখবেন সেখানে ব্যবহার করা হয়েছে ‘ড’ বর্ণটি।
ন –
কোন গাড়ি যদি ছোট পিক আপ ক্যাটাগরির হয়ে থাকে তাহলে নাম্বার প্লেটে ‘ন’ ব্যবহার করে ক্যাটাগরি নির্দিষ্ট করা হয়ে থাকে।
প –
টাক্সি ক্যাবের জন্য নির্ধারিত ক্যাটাগরি হচ্ছে ‘প’ ক্যাটাগরি। এই ক্যাটাগরির বা ট্যাক্সি ক্যাবের নাম্বার প্লেটে ‘প’ বর্ণটি থাকে।
ভ –
২০০০+ সিসি প্রাইভেটকার বুঝানোর জন্য এইসব গাড়ির নাম্বার প্লেটে শহরের নামের পর ‘ভ’ বর্ণমালা ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
ম –
পন্য পরিবহন এবং ডেলিভারির জন্য ব্যবহৃত পিক-আপ বুঝানোর জন্য বাংলা বর্ণমালার ‘ম’ বর্ণটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
দ –
প্রাইভেট বা নিজস্ব পরিবহনের জন্য যেসব প্রাইভেট সিএনজি চলাচল করে থাকে সেগুলোর নাম্বার প্লেটে ‘দ’ ব্যবহার করে বুঝান হয় এইটি প্রাইভেট সিএনজি।
থ –
ভাড়ায় চলিত সিএনজির ক্ষেত্রে ‘দ’ এর বদলে ‘থ’ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
হ –
যদি কোন মোটরবাইক ৮০-১২৫ সিসি’র হয়ে থাকে তাহলে সেই বাইকের নাম্বারপ্লেটে ‘হ’ দিয়ে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে।
ল –
যদি কোন মোটরবাইক ১৩৫-২০০ সিসি’র হয়ে থাকে তাহলে সেই বাইকের নাম্বারপ্লেটে ‘ল’ দিয়ে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে।
ই –
ভটভটি টাইপের ট্রাকের নাম্বারপ্লেটে অনুমোদন দেয়ার সময় তাতে ‘ই’ বর্ণটি দিয়ে ক্যাটাগরি ঠিক করে দেয়া হয়।
য-
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের গাড়িগুলো চিহ্নিত করতে নাম্বার প্লেটে ‘য’ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
কোন বর্ণ দিয়ে কোন ধরণের গাড়ি বুঝানো হয় তা জানা থাকলে শুধু নাম্বার প্লেট দেখেই গাড়ির রেজিস্ট্রেশন, শহর, ইঞ্জিন প্রকৃতি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। অনেক সময় গাড়ি সনাক্ত করার জন্যও গাড়ির নাম্বার ব্যবহার করা হয়। আশা করি আজ নতুন কিছু জানতে পারলেন।
আপনার যদি একটি গাড়ি থাকে, তাহলে নিশ্চিতভাবে সেই গাড়িতে সামনে ও পিছনে নাম্বারপ্লেট আছে। আর যদি গাড়ি না-ও থাকে তাহলে নিশ্চই প্রতিদিন চলতে ফিরতে যত গাড়ি দেখেন, সেইসব গাড়ির নাম্বার প্লেটে গাড়ির নাম্বার তো নিশ্চই দেখেছেন। প্রতিটি গাড়ির নাম্বার প্লেট আলাদা। ঢাকা মেট্রো ক ১২৩৪, ঢাকা মেট্রো খ- ২৩৪৫ ইত্যাদি আরো অনেক। ঢাকা মেট্রো বলতে যে গাড়িটি ঢাকা মেট্রোপলিটনের আওতাধীন তা সহজেই অনুমান করা যায়। কিন্তু শহরের নাম আর সংখ্যার মাঝে একটি বাংলা বর্ণমালাও জুড়ে দেয়া হয় গাড়ির নাম্বার প্লেটে। এই বর্ণমালা দিয়ে কী বুঝানো হয় তা কি কখনো ভেবে দেখেছেন?
অনেকেই গাড়ির নাম্বারপ্লেটে বাংলা বর্ণমালার অর্থ হয়ত জেনে থাকবেন। আর না জানলেও ক্ষতি নেই। চলুন জেনে নেয়া যাক এই বর্ণমালার মাধ্যমে গাড়ির নাম্বার প্লেট কী প্রকাশ করা হয়ে থাকে।
নাম্বার প্লেট লিখার ফরমেট:
এই ফরমেটের মাঝের অংশে গাড়ির ক্যাটাগরি বুঝাতেই বাংলা বর্ণমালা ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এবার মনে প্রশ্ন আসতেই পারে কোন বর্ণ দিয়ে কোন ক্যাটাগরি বুঝানো হয়ে থাকে?
বিআরটিএ যখন কোন গাড়িকে অনুমোদন দিয়ে থাকে, তখন গাড়ির ধরণ অনুসারে গাড়িকে একটি ক্যাটাগরিতে স্থান দেয়া হয়ে। কোন গাড়ি কোন ক্যাটাগরিতে পড়ছে, সেই ক্যাটাগরি অনুসারে গাড়ির জন্য একটি বর্ণমালা নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। নাম্বারপ্লেট প্রদানের ক্ষেত্রে বিআরটিএ’র নিয়ম অনুসারে মোট ১৯ টি ক্যাটাগরি আছে। এর মধ্যে একটি ক্যাটাগরি হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের গাড়ি, বাকি ১৮টি ক্যাটাগরি হচ্ছে জনসাধারণের গাড়ির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। দেখে নেয়া যাক আপনার গাড়িটি কোন ক্যাটাগরিতে পড়েছে।
ক –
প্রাইভেটকার, ৮০০ সিসি’র প্রাইভেট কারের নাম্বারপ্লেটে ব্যবহার করা হয়ে থাকে ব্যাঞ্জন বর্ণের প্রথম বর্ণ ‘ক’।
খ –
প্রাইভেটকার, যেসব প্রাইভেট কার ১০০০-১৩০০ সিসি’র হয়ে থাকে সেগুলোর নাম্বারপ্লেটে ‘খ’ লিখা থাকে।
গ –
প্রাইভেটকার, ১৫০০-১৮০০ সিসি’র যেসব প্রাইভেটকার রয়েছে সেগুলোর নাম্বারপ্লেটে খেয়াল করলে দেখা যাবে ‘গ’ বর্ণ দেয়া আছে।
ঘ –
জীপগাড়ি, জীপগাড়ির ক্যাটাগরি নির্ধারণের জন্য ‘ঘ’ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
চ –
মাইক্রোবাসের নাম্বার প্লেটে ব্যবহার করা হয় বাংলা বর্ণমালার ৫ম বর্ণ ‘চ’।
ছ –
আবার ভাড়ায় চালিত মাইক্রোবাস যেগুলো সেগুলোর নাম্বার প্লেটে থাকে ‘ছ’। লেগুনার জন্যও এই বর্ণটি নির্ধারিত।
জ –
মিনিবাসের ক্যাটাগরি বুঝানোর জন্য নাম্বার প্লেটে ‘জ’ বর্ণটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
ঝ –
আবার বড় বাস বা কোস্টার বাসের ক্যাটাগরি ভিন্ন। এই ক্যাটাগরি বুঝাতে ব্যবহার করা হয় ‘ঝ’।
ট –
কোন গাড়ির নাম্বার প্লেটে যদি ‘ট’ বর্ণটি লিখা থাকে তাহলে বুঝতে হবে এটি বড় ট্রাকের নাম্বার প্লেট।
ঠ –
নাম্বার প্লেটে ‘ঠ’ থাকলে বুঝতে হবে, নাম্বার প্লেটটি কোন ডাবল কেবিন পিক-আপ এর নাম্বার প্লেট।।
ড –
মাঝারি ট্রাকের নাম্বার প্লেটের দিকে খেয়াল করলে দেখবেন সেখানে ব্যবহার করা হয়েছে ‘ড’ বর্ণটি।
ন –
কোন গাড়ি যদি ছোট পিক আপ ক্যাটাগরির হয়ে থাকে তাহলে নাম্বার প্লেটে ‘ন’ ব্যবহার করে ক্যাটাগরি নির্দিষ্ট করা হয়ে থাকে।
প –
টাক্সি ক্যাবের জন্য নির্ধারিত ক্যাটাগরি হচ্ছে ‘প’ ক্যাটাগরি। এই ক্যাটাগরির বা ট্যাক্সি ক্যাবের নাম্বার প্লেটে ‘প’ বর্ণটি থাকে।
ভ –
২০০০+ সিসি প্রাইভেটকার বুঝানোর জন্য এইসব গাড়ির নাম্বার প্লেটে শহরের নামের পর ‘ভ’ বর্ণমালা ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
ম –
পন্য পরিবহন এবং ডেলিভারির জন্য ব্যবহৃত পিক-আপ বুঝানোর জন্য বাংলা বর্ণমালার ‘ম’ বর্ণটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
দ –
প্রাইভেট বা নিজস্ব পরিবহনের জন্য যেসব প্রাইভেট সিএনজি চলাচল করে থাকে সেগুলোর নাম্বার প্লেটে ‘দ’ ব্যবহার করে বুঝান হয় এইটি প্রাইভেট সিএনজি।
থ –
ভাড়ায় চলিত সিএনজির ক্ষেত্রে ‘দ’ এর বদলে ‘থ’ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
হ –
যদি কোন মোটরবাইক ৮০-১২৫ সিসি’র হয়ে থাকে তাহলে সেই বাইকের নাম্বারপ্লেটে ‘হ’ দিয়ে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে।
ল –
যদি কোন মোটরবাইক ১৩৫-২০০ সিসি’র হয়ে থাকে তাহলে সেই বাইকের নাম্বারপ্লেটে ‘ল’ দিয়ে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে।
ই –
ভটভটি টাইপের ট্রাকের নাম্বারপ্লেটে অনুমোদন দেয়ার সময় তাতে ‘ই’ বর্ণটি দিয়ে ক্যাটাগরি ঠিক করে দেয়া হয়।
য-
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের গাড়িগুলো চিহ্নিত করতে নাম্বার প্লেটে ‘য’ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
কোন বর্ণ দিয়ে কোন ধরণের গাড়ি বুঝানো হয় তা জানা থাকলে শুধু নাম্বার প্লেট দেখেই গাড়ির রেজিস্ট্রেশন, শহর, ইঞ্জিন প্রকৃতি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। অনেক সময় গাড়ি সনাক্ত করার জন্যও গাড়ির নাম্বার ব্যবহার করা হয়। আশা করি আজ নতুন কিছু জানতে পারলেন।
Comments
Post a Comment